প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কৌশল্যা গ্রামে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরা পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও জনৈক খোরশেদ আলম ও তার দোসরদের কর্তৃক এলাকার নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয়রা।
রবিবার(১৮ মে) বিকালে কৌশল্যার সচেতন গ্রামবাসীর উদ্যোগে ফেনী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত ব্যক্তব্যে স্থানীয় শামছুল আলম বলেন, ' কৌশল্যা গ্রামের মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাহবহির্ভূতভাবে এলাকার অপর এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছে।
পাশাপাশি মাদকসেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজের মাধ্যমে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে সে।এছাড়া খোরশেদ আলম গংরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় সমাজের সাধারণ মানুষ এতদিন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়নি। এর ফলে এলাকায় খোরশেদ আলমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক দিন দিন বেড়ে যায়।”
এ সময় তিনি বলেন, “ গত ১৫ মে রাত ১১ টায় খোরশেদ আলমকে ওই নারীর ঘরে অনৈতিক অবস্থায় হাতনাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধৃত করে এলাকাবাসী। যাহার অনেক ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসে। তখন খোরশেদ আলমের ভাই মোরশেদ আলম ১০-১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসীর উপর হামলা ও বেদম মারধর করে।
পরবর্তীতে থানায় গিয়ে কল্পিত মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে এলাকার নিরীহ নির্দোষ তরুণদের আসামি করে বানোয়াট মামলা দায়ের করে।
তারপর খোরশেদের ভাই আবুল কাশেম দুলালের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী নিরীহ নাজিম উদ্দিনের বাড়ীতে হামলা করে তাকে বেদড়ক মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। ”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “ হামলার সময় ওই বাড়ীর ছোট শিশু ফয়সাল মাহমুদ রিয়ানকে মারধর করা হয়। এছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামী ও তাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি প্রদান করে খুরশিদ গংরা।
অপরদিকে অনৈতিক এ কর্মকান্ডে ধরা পড়ার ঘটনাটি আড়াল করতে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পায়তারা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে থেকে এসব অপকর্মে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি
জানানো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন,মুফিজুর রহমান, আঘাতপ্রাপ্ত ফয়সাল মাহমুদ ও সামছুল আলমের স্ত্রী জহুরা আক্তারসহ অনেকেই।